আমি ব্লগ লেখার খুব বেশি সমর্থক কোনওদিনও ছিলাম না, সত্যি কথা বলতে কি এখনও যে আছি তা নয় । তার একটা প্রধান কারণ আমার ধারণা ব্লগ লেখার থেকেও পড়া অনেক বেশি ক্লান্তিকর । অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময়ই পড়তে শুরু করে শেষ করা হয়ে ওঠে না । নিজের ধৈর্য এবং/অথবা আগ্রহের অভাবকে 'ঠিক আছে, বাকিটা পরে পড়ব' জাতীয় অজুহাত দিয়ে ঢেকে দিই - আর আমরা সবাই জানি সেই 'পরে' টা আর কখনওই আসে না । তো, এই কারণে আমি ঠিক করেছি আমার ব্লগকে কখনওই অন্যের ক্লান্তির কারণ ঘটাব না, আমার ব্লগের বিষয় হবে প্রধানতঃ ভ্রমণ । আমার মতো যেসব বাঙালিরা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমার ব্লগ হবে তথ্যের একটা উৎস । আমার নিজের একটা অভ্যেস আছে, কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগে সেই জায়গাটা সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি, আর ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে আমার বরাবরই মনে হয়েছে যে ইন্টারনেটে লেখালেখি করার ব্যাপারে বাঙালিদের থেকে কুঁড়ে খুব কম শিক্ষিত জাতই আছে । আমার মতো যেসব বাঙালিরা আছে, যারা ইন্টারনেটে কোনো একটা ইংরিজীতে লেখা দেখলেই না পড়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য আমার ব্লগ সহায়ক হবে, এই বিশ্বাস নিয়ে শুরু করছি আমার ভ্রমণকাহিনী । আগেই বলে রাখি, আমি স্ট্যাটিসটিক্সের ছাত্র ছিলাম, তাই আমার ব্লগে তত্ত্বের থেকে তথ্যের দেখাই মিলবে বেশি ।

Sunday, April 27, 2014

তাজপুর ভ্রমণ

০১২ সালে চাঁদিপুর ভ্রমণের দু'বছর পরে অফিস থেকে আমরা এবারে তাজপুর বেড়াতে গেলাম । এবারের দলে একজন শিশুসহ মোট ২৪ জন যার মধ্যে ১৮ জন অফিসের আর বাকিরা তাদের পরিবার । যদিও বেশিরভাগ লোকই জানে, তাও বলছি তাজপুর পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দীঘার কাছে আরেকটা বীচ্‌ । দীঘা বা মন্দারমণির মতো ঘিঞ্জি নয় - তাজপুর বেশ ফাঁকা ফাঁকা একটা জায়গা । সেই তাজপুর ভ্রমণ নিয়েই আমার ব্লগের এবারের নাতিদীর্ঘ পোস্ট ।

রামনগর স্টেশনে সবাই
২৬শে এপ্রিল, ২০১৪ শনিবার সকাল ৬:৪০ এ হাওড়া স্টেশন থেকে তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে আমাদের যাওয়া । ট্রেনে না গিয়ে গাড়ি নিয়েও যাওয়া যেতে পারে, তবে তাতে খরচ কিছুটা বাড়বে । তাজপুর যাওয়ার জন্য রামনগর স্টেশনে নামতে হয় - সেখান থেকে মোটর ভ্যানে বা গাড়িতে তাজপুর । তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস রামনগর পৌঁছয় সকাল ৯:৪৪ এ । আমাদের ট্রেন মিনিট দশেক লেট ছিল ।

রামনগর স্টেশন থেকে আমরা তাজপুর যাওয়ার জন্য গাড়ি ভাড়া করলাম । আগেই বলেছি মোটর ভ্যানের ব্যবস্থা আছে তবে এপ্রিলের প্রবল গরমে বেলা ১০ টার সময়ে মাথাখোলা ভ্যানে যাওয়ার বাড়াবাড়িটা বোধহয় না করাই ভালো । আমরা তিনটে মারুতি ওম্‌নি নিলাম । প্রতি গাড়ির ভাড়া ৩৫০ টাকা (এখানে একটা সিন্ডিকেটের চার্ট টাঙানো আছে, চাইলেও এদের বেশি দেওয়ার কোনও মানে হয় না) । রামনগর থেকে তাজপুর যেতে প্রায় আধঘন্টা লাগে ।

তাজপুর রিট্রিটে আমাদের কটেজ
তাজপুরে আমাদের বুকিং ছিল 'তাজপুর রিট্রিটে' । এখানে বলে রাখি তাজপুরে সমুদ্রের ধারে কিন্তু কোনও হোটেল বা থাকার জায়গা নেই, কাজেই কোনও হোটেলওয়ালা বা তাদের প্রতিনিধিরা (মানে দালাল আর কি !) যদি সেটা দাবী করে তাহলে বুঝতে হবে তারা প্রতারক এবং তাদের বিরুদ্ধে সরব হতে হবে । তাজপুর রিট্রিটে নন্‌ এসি ডাব্‌ল্‌ বেডের ভাড়া ১,০০০ টাকা, এসি ডাব্‌ল্‌ বেড ১,৫০০ টাকা । তবে আমরা মাথাপিছু ১,২০০ টাকা হিসেবে প্যাকেজ সিস্টেম নিয়েছিলাম । প্যাকেজে থাকছে - পরেরদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত থাকা, প্রথমদিনের লাঞ্চ, বিকেলের চা ও স্ন্যাক্স, ডিনার, পরেরদিন সকালে চা ও ব্রেকফাস্ট আর দুপুরের লাঞ্চ ।

তাজপুরের সমুদ্র
সাধারণতঃ সকালে এইরকম সময়ে সমুদ্রের কাছে পৌঁছলে চান করাটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে, আমরাও তাই কিছুক্ষণের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেলাম সমুদ্রের দিকে । তাজপুরের গাড়ি চলাচলের প্রধান রাস্তাটা পেরিয়ে একটা ঝাউবনের ভেতর দিয়ে ৫ মিনিট হাঁটলেই সমুদ্র । তাজপুরের সমুদ্র সম্পর্কে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায় যে এখানে সমুদ্র নাকি একেবারে ডোবা ! কথাটা যে একেবারেই সত্যি নয়, আশা করি আমাদের তোলা ছবিগুলো তার যথেষ্ট প্রমাণ বহন করবে । বেলা সাড়ে এগারোটা বাজে - প্রায় ভাঁটার সময়ে, কিন্তু তাও সমুদ্রে চান করে বেশ ভালো লাগল । ঘন্টাখানেক জলে লাফালাফি করে জল থেকে উঠে ডাব খেয়ে (মানে ডাবের জল খেয়ে - না, শাঁস ছিল না) হোটেলে ফিরে এলাম । তাজপুরের বীচ্‌ আরও একটা কারণে বিশেষ উল্লেখযোগ্য, সেটার কথা যথাসময়ে বলব ।

কটেজের ভিতর
হোটেলে ফিরে আরেকদফা চান । তাজপুর রিট্রিটের ঘরগুলো বেশ বড় আর প্রত্যেকটা ঘরেই এসির ব্যবস্থা করা আছে । ঘরে একটা বাথরুম কাম্‌ টয়লেট আর একটা শুধু টয়লেট । ঘরগুলো কটেজ টাইপ আর বাইরে বেশ গরম বেশ বেশি হলেও ঘরের ভেতরটা বেশ আরামদায়ক । তবে এইপ্রসঙ্গে বলে রাখি তাজপুরে কিন্তু কলকাতার থেকে কম গরম লাগছিল । গাছপালা ঘেরা জায়গা বলেই হোক বা সমুদ্রের ধার বলেই হোক, কলকাতার হাঁসাফাঁসানি থেকে তাজপুরে গিয়ে কিছুটা মুক্তিই পেলাম ।

দুপুরে ভাত, ডাল, পোস্ত, আলুভাজা আর পারশে মাছের ঝাল । কটেজগুলোর বাইরে একটা খাওয়ার জায়গা আছে - সেখানেই সবাই মিলে বসে খেলাম । তারপর দুপুরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে আবার সমুদ্রের ধারে গেলাম ।

সমুদ্রের ওপর সূর্য্যাস্ত
বিকেলের জোয়ারের সময় । আমরা গেছি কৃষ্ণপক্ষের দ্বাদশীতে, জোয়ারের জোর স্বাভাবিকভাবেই বেশি । বিকেলে চান করার ব্যাপার নেই, বালির ওপর চটি খুলে রেখে প্যান্ট/পাজামা/সালোয়ার গুটিয়ে পা ভেজানো আর কিছুক্ষণ অন্তর পিছিয়ে গিয়ে চটিজোড়াকে আরও কিছুটা পিছনে রেখে আসা । বিকেলে গরম একেবারেই লাগছিল না, বেশ আরামদায়ক আবহাওয়া আরও অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করে আমরা সমুদ্রের ওপর সন্ধ্যে নামা দেখলাম ।

এরপর আবার হোটেলে ফিরে এসে চা আর পকোড়া খাওয়া হল । তাজপুরে সমুদ্র ছাড়া দেখার আর কিচ্ছুই নেই, আর আমাদের মতো যাদের সমুদ্রের জল ছাড়া আর কোনও 'জলের' অভ্যেস নেই, তাদের জন্য সন্ধ্যের পর সমুদ্রই ভালো অপ্‌শন্‌ । হোটেলের লোকের কথা শুনে এবারে আমরা পাঁচজন (আমি, আমার স্ত্রী অমৃতা, আমার কলিগ্‌ কঙ্কনাদি, অমিতদা আর ওদের একবছরের মেয়ে অন্নিকা) আর ঝাউবনের মধ্যে দিয়ে না গিয়ে এবার মোহনার দিকে গেলাম । তাজপুরের গাড়ি চলার প্রধান রাস্তাটা ধরে মিনিট কুড়ি হাঁটলেই মোহনায় পৌঁছনো যায় ।

রাত্রিবেলা মোহনাটা খুবই মনোরম । এই মোহনারই অন্য পাড়ে মন্দারমনি । আমরা জলের কাছে গিয়ে বালির ওপর বসলাম । জায়গাটা মোটামুটি অন্ধকার - দূরে কয়েকটা টালির/খড়ের চালের ছোট দোকান রয়েছে সেখানে টিমটিম করে আলো জ্বলছে । এই দোকানগুলোয় খুব সামান্য টুকিটাকি জিনিস আর ডাব পাওয়া যায় । আমরা ঘন্টাখানেক বসে ডাব খেয়ে (মানে ডাবের জল খেয়ে - হ্যাঁ, এবারে মোটা শাঁস ছিল) ফেরার পথ ধরলাম ।

হোটেলে ফিরতে দশটা বেজে গেল । তারপর ডিনার করলাম । ডিনারে ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন ।

তাজপুরের সূর্য্যোদয়
পরেরদিন ২৭শে এপ্রিল, ২০১৪ রবিবার । সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গেলে সানরাইজ দেখতে যাওয়ার একটা ব্যাপার থাকেই, আমি সেইমতো ভোর পাঁচটার সময়ে বেরোলাম । আমাদের দলের আরও অনেকে বেরোলো । তাজপুর এমনিতেই ফাঁকা, আমরা ছাড়া আর খুব কম লোকই এসেছে আর সকালের বীচে গিয়ে দেখা গেল আমরাই শুধু এসেছি । যাই হোক, বীচে পৌঁছে দেখলাম সূর্য্যোদয় তখনো হয়নি আর দেখার কোনও সম্ভাবনাও নেই কারণ আকাশ মেঘে ঢাকা । কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সূর্য্যের দেখা পাওয়া গেল ঠিকই, তবে ততক্ষণে উনি মেঘের আড়াল দিয়ে অনেকটা উঠে পড়েছেন ।

তাজপুরের লাল কাঁকড়া
এবার সেই বিশেষ জিনিসটার উল্লেখ করি । তাজপুরের বীচে পৌঁছে দেখা যায় বালির ওপর বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে - লাল কাঁকড়া । সংখ্যায় অগুনতি । কাছে গেলেই টুপটুপ করে গর্তের মধ্যে ঢুকে যায় । যতই পা টিপে টিপে সন্তর্পণে যাওয়া হোক না কেন, ওরা ঠিক পায়ের কম্পন বুঝতে পারে । এই লালকাঁকড়া তাজপুরের একটা বিশেষত্ব । এরা আকারে খুব বড় নয় - এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল এদের গায়ের রঙ । আমার মতো মানসিকতা যাদের তাদের জন্য খারাপ খবর - এগুলো মানুষের খাদ্য নয় !

আরও কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে হোটেলে ফিরে এলাম । তাজপুর রিট্রিটের বাগানে দোলনা টাঙানো আছে, সেখানে সকালে বসে থাকতে দিব্যি লাগছিল । কিছুক্ষণ পরে আলুর পরোটা আর আচার দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলাম ।

এরপর আবার সমুদ্রে চান । দ্বিতীয়দিন প্রথমদিনের থেকে আগে জলে নামা হয়েছে, তাই জোয়ারের জোরটা বেশি । চান কর আগেরদিনের থেকেও বেশি ভাল লাগল । প্রায় দু'আড়াইঘন্টা চান করে হোটেলে ফিরে এলাম ।

বাকিটা গতানুগতিক । হোটেলে ফিরে চান, তারপর দুপুরে পোনা মাছের ঝাল দিয়ে ভাত । তারপর কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে বিকেলে বেরোলাম তখন সোয়া পাঁচটা । আবার তিনটে গাড়িতে ২৩ + ১ জন । রামনগর স্টেশনে এসে সন্ধ্যে ৬:২৯ এ কান্ডারি এক্সপ্রেসে উঠলাম । কান্ডারির হাওড়ায় পৌঁছনোর কথা রাত ৯:৫০ এ - পৌঁছল সাড়ে দশটার পরে । তাজপুর ভ্রমণ শেষ ।

সারসংক্ষেপঃ

১. কলকাতার কাছে একদিনের ঘুরে আসার জন্য যে জায়গাগুলো আছে, তাদের মধ্যে তাজপুর বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ফাঁকা বীচ্‌, ফাঁকা জায়গা যাদের আকর্ষণ করে তাদের জন্যই তাজপুর ।
২. হাওড়া থেকে দীঘাগামী যেকোনও ট্রেনে রামনগরে নেমে গাড়িতে বা মোটর ভ্যানে তাজপুর যাওয়া যেতে পারে । এছাড়া নিজেদের গাড়িতে করে গেলে কাঁথি-দীঘা রোডে বালিসাই থেকে বাঁদিকে ঘুরে তাজপুর যেতে হবে ।
৩. তাজপুরে হোটেলের সংখ্যা বেশি নয়, আর এখানে খুব বেশি লোক যায় না । তাই পীক্‌ সিজ্‌ন্‌ ছাড়া অন্য সময়ে আগে থেকে হোটেল বুকিং না করে গেলেও চলবে ।
৪. আমরা ছিলাম তাজপুর রিট্রিটে । এদের ওয়েবসাইট http://www.tajpurhotel.com/ । এছাড়া এদের সঙ্গে যোগাযোগের নম্বর - 9830271064.
৫. তাজপুর রিট্রিটে মোট আটটা ডাবল্‌ বেড রুম আছে, সেখানে এরা আমাদের ১৯ জনের ব্যবস্থা করেছিল । বাকিচারজনের জন্য যে দু'টো ঘর দিয়েছিল সেগুলো অন্য হোটেলের এবং সেটা এদের কম্পাউন্ডের বাইরে । তাই যদি বড় দলে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকে তাহলে বিশেষতঃ এই বিষয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নেওয়াই ভালো ।
৬. তাজপুরের সমুদ্র চান করার পক্ষে বেশ উপযোগী । সমুদ্রে যথেষ্ট ঢেউ আছে এবং বীচে যথেষ্ট লোক নেই, তাই একা বেশিদূরে না যাওয়াই শ্রেয় ।
৭. তাজপুরের বীচে একটা বিশেষ উল্লেখযোগ্য জিনিস হল অসংখ্য লালকাঁকড়া । যাদের এই জিনিস দেখার বিশেষ অভিজ্ঞতা নেই, তাদের এই দৃশ্য মুগ্ধ করবে বলেই মনে হয় ।

উপসংহারঃ

তাজপুর !
কলকাতা থেকে সপ্তাহান্তের ছুটি উপভোগ করার জন্য তাজপুর বেশ ভালো একটা জায়গা । এখানে থাকার জন্য একদিনই যথেষ্ট - তার বেশি থাকলে একঘেয়ে লাগার সম্ভাবনা । লোকসমাগম কম, নিরিবিলি, দোকানপাট বিহীন, প্রায় নির্জন এই জায়গা বিশ্রাম নেওয়ার পক্ষে একেবারে আদর্শ । সকালে সমুদ্রে চান, ডাব খাওয়া (মানে ডাবের জল খাওয়া - শাঁস পেলে খাওয়া যেতে পারে) আর বিকেলে সমুদ্রের তীরে ঘুরে বেড়ানো - এই নিয়েই তাজপুর । এখানে সমুদ্র ছাড়া দেখার আর কিছুই নেই । তাই ঘুরতে গিয়ে বেশি ঘোরাঘুরি না করে শরীর আর মনের ক্লান্তি দূর করা যাদের উদ্দেশ্য, তাজপুর তাদের জন্যই । আমি তাজপুর ২০০৯ সালেও গেছি, এবারে গিয়েও আমার সেই অনুভূতিটাই হল যেটা আমার বক্‌খালি-তেও হয়েছিল । তাই বক্‌খালি ভ্রমণের সেই কথাগুলো দিয়েই শেষ করছি - দীঘা পুরী মন্দারমণির মতো ঘ্যাম নয়, অল্প হোটেল-দোকান, সমুদ্রের লাল কাঁকড়া আর শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ নিয়ে তাজপুর থাকুক তাজপুরেই !

তাজপুরের আরও ছবি দেখতে হলে click here.

3 comments:

  1. Jothajoto :) tajpur blog ta pore etai mone holo asusual :) tobe, lal kankrar byapar ta purotai mandarmoni te amar experience hoyechhe :) :) photogulo bhalo hoyechhe :)

    ReplyDelete
  2. অসাধারণ ছবি ও লেখা

    ReplyDelete