আমি ব্লগ লেখার খুব বেশি সমর্থক কোনওদিনও ছিলাম না, সত্যি কথা বলতে কি এখনও যে আছি তা নয় । তার একটা প্রধান কারণ আমার ধারণা ব্লগ লেখার থেকেও পড়া অনেক বেশি ক্লান্তিকর । অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময়ই পড়তে শুরু করে শেষ করা হয়ে ওঠে না । নিজের ধৈর্য এবং/অথবা আগ্রহের অভাবকে 'ঠিক আছে, বাকিটা পরে পড়ব' জাতীয় অজুহাত দিয়ে ঢেকে দিই - আর আমরা সবাই জানি সেই 'পরে' টা আর কখনওই আসে না । তো, এই কারণে আমি ঠিক করেছি আমার ব্লগকে কখনওই অন্যের ক্লান্তির কারণ ঘটাব না, আমার ব্লগের বিষয় হবে প্রধানতঃ ভ্রমণ । আমার মতো যেসব বাঙালিরা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমার ব্লগ হবে তথ্যের একটা উৎস । আমার নিজের একটা অভ্যেস আছে, কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগে সেই জায়গাটা সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি, আর ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে আমার বরাবরই মনে হয়েছে যে ইন্টারনেটে লেখালেখি করার ব্যাপারে বাঙালিদের থেকে কুঁড়ে খুব কম শিক্ষিত জাতই আছে । আমার মতো যেসব বাঙালিরা আছে, যারা ইন্টারনেটে কোনো একটা ইংরিজীতে লেখা দেখলেই না পড়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য আমার ব্লগ সহায়ক হবে, এই বিশ্বাস নিয়ে শুরু করছি আমার ভ্রমণকাহিনী । আগেই বলে রাখি, আমি স্ট্যাটিসটিক্সের ছাত্র ছিলাম, তাই আমার ব্লগে তত্ত্বের থেকে তথ্যের দেখাই মিলবে বেশি ।

Tuesday, January 1, 2019

চন্দ্রকেতুগড় ভ্রমণ

মার ব্লগে আজ পর্যন্ত্য যতগুলো জায়গায় ঘোরা নিয়ে পোস্ট করেছি, তার মধ্যে চন্দ্রকেতুগড়ের নাম সবথেকে কম লোক শুনেছে এটা আমি হলফ্‌ করে বলতে পারি ! গড় শুনে কেল্লা বা ওইজাতীয় কিছু মনে হলেও জায়গাটা আসলে একটা ধ্বংসাবশেষ আর দেখার জন্য বেশি দূরেও যাওয়ার দরকার হবে না । কলকাতা থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বেড়াচাঁপা এলাকায় অবস্থিত এই জায়গা । নতুন বছরের প্রথম দিনে এখানে একটা ডে-আউট ট্রিপ দিয়ে শুরু করছি আমার ব্লগের এবারের পোস্ট ।

সঙ্গে থাকা খাবার
বছরের প্রথমদিন কোথায় যাওয়া যায় ? কয়েকদিন ধরে এই বিষয়ে ভাবছিলাম । ভিড়ের জন্য কলকাতার মধ্যে যেকোনও জায়গাতেই যাওয়া প্রায় অসম্ভব - ভিক্টোরিয়া, নিক্কো পার্ক, ইকো পার্ক এইসব জায়গায় এত ভিড় হয় যে একটা গেট দিয়ে একজন লোক ঢুকলে সেই ঠেলায় অন্য গেট দিয়ে আরেকজন লোক বেরিয়ে পড়ে ! শেষ পর্যন্ত্য মাথায় এল চন্দ্রকেতুগড়ের নাম । জায়গাটার সম্পর্কে বিশেষ কিছু ধারণা ছিল তা নয়, তবে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ার পক্ষে মন্দ নয় এটা জানা ছিল । সেইমতো সকাল দশটা নাগাদ আমি, অমৃতা, বাবা, মা, কথা, কলি আমাদের গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম চন্দ্রকেতুগড়ের উদ্দেশ্যে । সঙ্গে থাকল রাস্তায় খাওয়ার মতো লুচি, আলুর দম, মোয়া, মিষ্টি । রাস্তায় বেরোলে এমনিতেই খিদে বেশি পায় আর যদি সঙ্গে এইসব লোভনীয় খাবার থাকে, তখন খিদে দমন করে রাখার মানে হয় না । তাই ঘন্টাখানেক চলার পরে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে খাবারগুলোর সদ্ব্যবহার করে ফেলা হল ।

গাড়ি পার্কিং করে ভিতরে ঢোকার আগে
কলকাতা থেকে চন্দ্রকেতুগড় যাওয়ার অনেকগুলো রাস্তা আছে । আমরা গিয়েছিলাম নিউটাউন হয়ে রাজারহাট মেইন রোড ধরে । একটু পরে সেই রাস্তার নাম বদলে হয়ে গেল খড়িবাড়ি রোড যেটা একসময়ে কলকাতা-বসিরহাট-টাকি রোডের (SH 2) সঙ্গে মিলিত হল । এই রাস্তা ধরে আরও ১০ কিলোমিটার চলার পরে বেড়াচাঁপার মোড় । সেখান থেকে বাঁদিকে ঘুরে হাড়োয়া রোড ধরে ১ মিনিট চললেই পোঁছনো যায় চন্দ্রকেতুগড়ে । আমরা পৌঁছলাম তখন দুপুর ১ টা ।

চন্দ্রকেতুগড়ের পাশে একটা ছোট মাঠে গাড়ি পার্কিং করে আমরা লোহার গ্রিল দেওয়া পাঁচিলের ভিতরে ঢুকলাম । টিকিটের কোনও প্রশ্ন নেই । ভিতরে ঢুকে কি দেখলাম সেটা লেখার আগে এখানকার সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়ে রাখি ।

খ্রীষ্টপূর্ব ৪০০ থেকে ৩০০ শতকের মধ্যে প্রাক্‌মৌর্য্যযুগে চন্দ্রকেতুগড় নির্মিত হয় । এরপর কুষাণ বংশ, গুপ্ত বংশের পরে অবশেষে ১২০০ খ্রীষ্টাব্দে বাংলায় পাল-সেন বংশের শাসনকাল পর্যন্ত্য এর অস্তিত্বের কথা জানা যায় । কোনও কোনও ঐতিহাসিক মনে করেন চন্দ্রকেতুগড় আসলে ঐতিহাসিক শহর 'গঙ্গারিদাই' - যার কথা গ্রীক দার্শনিক টলেমি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ 'জিওগ্রাফিয়া'তে উল্লেখ করেছেন । এর থেকে অনুমান করা হয় এই শহরের সঙ্গে সেই যুগে রোমের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল ।

১৯০৭ সালে এখানকার ডাক্তার তারকনাথ ঘোষ প্রথম এই জায়গায় কিছু ঐতিহাসিক দ্রব্যের সন্ধান পান । তিনি তৎক্ষণাৎ ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ্‌ ইন্ডিয়া) কাছে বিষয়টি জানান । পুরাতত্ত্ব বিভাগ চন্দ্রকেতুগড়ে এসে কিছু না পেলেও এর দু'বছর পর স্বনামধন্য ঐতিহাসিক রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে এসে বেশ কিছু পোড়ামাটির জিনিস পান । এর অনেক পরে ১৯৫৬ সাল থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ সংগ্রহশালা চন্দ্রকেতুগড়ে প্রায় দশ বছর ধরে দীর্ঘ খননকার্য্য চালায় । তার ফলে ঐতিহাসিক যুগের বুদ্ধমূর্তি, পোড়ামাটির ফলক, শীলমোহর, মুদ্রা ইত্যাদি পাওয়া যায় । সেই সময়েই চন্দ্রকেতুগড়ের সম্পর্কে বেশিরভাগ তথ্য জানা যায় । এরপর ২০০০ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ মাত্র এক বছরের জন্য এখানে খননকার্য্য চালায় । সেইসময়ে এখানে একটি  ইঁটের বহুকোণবিশিষ্ট উত্তরমুখী মন্দির ও একটি তোরণের উপস্থিতির কথা জানা যায় ।

চন্দ্রকেতুগড়ের নামকরণ নিয়েও অনেক মতান্তর আছে । স্থানীয় মানুষের মতে, এখানকার রাজা চন্দ্রকেতুর নামে এই জায়গার নাম চন্দ্রকেতুগড় কিন্তু বাংলার ইতিহাসে এই নামের কোনও রাজার উল্লেখ পাওয়া যায় না । তাই কোনও কোনও ঐতিহাসিক মনে করেন চন্দ্রকেতুগড় নাম হয়েছে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্যের নাম থেকে - গ্রীক ইতিহাসে যাঁকে বলা হয়েছে 'সান্দ্রোকোটাস' ।

পাঁচিলের ভিতরে চন্দ্রকেতুগড়ের অংশ
লোহার গ্রিলের ভিতরে যে জায়গাটা দেখা যায় সেটার বিবরণ দেওয়া ভারী কঠিন । সাধারণভাবে বলতে গেলে বিশাল চওড়া ইঁটের দেওয়াল আর তার মাঝেখানে সমতল জায়গা । সেইসব জায়গায় ঘাস গজিয়ে রয়েছে । দেওয়ালগুলো যাদের ঘিরে রয়েছে সেগুলো হয়তো কোনও সময়ে ঘর ছিল, আবার সেটা নাও হতে পারে । আমি ইতিহাসের ছাত্র নই, তাই কোনটা আসলে কি সেটা অনুধাবন করার ক্ষমতা আমার নেই । আর এখানে কোনও ফলকও নেই যার থেকে এগুলোর সম্পর্কে বিশেষ জানা যায় । তবে এটা ঠিক পুরো জায়গাটা হেঁটে ঘুরে দেখতে বেশ ভালো লাগে আর দেখতে বড়জোর আধঘন্টা লাগতে পারে । ১লা জানুয়ারী বলে এখানে কিছু লোকজন এসেছে আর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে খাওয়াদাওয়াও করছে । এরকম ঐতিহাসিক জায়গায় সাধারণতঃ পিক্‌নিক করার নিষেধাজ্ঞা থাকে কিন্তু এখানে সেটা পালন হচ্ছে কিনা দেখার মতোও কোনও লোক নেই । ব্যাপারটা বেশ অযত্নরক্ষিত এটা বলতেই হবে ।

খনা-মিহিরের ঢিপি
গড়ের একদিকে একটা উঁচু ঢিপি আছে যেটার নাম খনা-মিহিরের ঢিপি বা বরাহমিহিরের ঢিপি । এটা গড়ের সবথেকে উঁচু জায়গা । কথিত আছে এই ঢিপির উপরে গিয়ে দাঁড়ালে নাকি মূহুর্তের মধ্যে প্রভূত জ্ঞানের অধিকারী হওয়া যায় ! (আমিও দাঁড়ালাম তবে যেহেতু আমি এমনিতেই একজন সবিশেষ জ্ঞানী ব্যক্তি, তাই নতুন জ্ঞানের আহরণটা বিশেষ অনুভব করলাম না । ইনফিনিটি + ইনফিনিটি = ইনফিনিটি !)


চন্দ্রকেতুগড়ের কাছাকাছির মধ্যে একটা 'চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা' আছে কিন্তু সেটা আপাতত বন্ধ । আমাদের ঘোরা শেষ তাই আমরা চন্দ্রকেতুগড় থেকে বেরিয়ে পড়লাম । বেড়াচাঁপার মোড়ে এসে ডানদিকে বসিরহাট-কলকাতা রোডে না এসে হাড়োয়া রোড ধরে আরেকটু এগিয়ে গেলাম । এখানে কয়েকটা খাবারের দোকান আছে তারই মধ্যে 'নিউ আরসালান' থেকে বিরিয়ানি আর চিকেন চাপ খেয়ে নেওয়া হল । খরচ হল ৩০০/- টাকা ।

ফেরার সময়ে একই পথ ধরে ফিরে এলাম । বিকেল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বাড়ি !

সারসংক্ষেপঃ

১. ডে-আউট ট্রিপে ঘুরে আসার জন্য কলকাতা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে প্রাচীন শহরের ধ্বংসাবশেষ চন্দ্রকেতুগড় । খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০ শতকের প্রাক্‌ মৌর্য্যযুগ থেকে ১২০০ খ্রীষ্টাব্দের পাল-সেন বংশের রাজত্বকাল পর্যন্ত্য এই জায়গার অস্তিত্ব ছিল ।
২. কলকাতা থেকে গাড়িতে চন্দ্রকেতুগড় ঘন্টাদুয়েক লাগে । এছাড়া এস্‌প্ল্যানেড বা উল্টোডাঙা থেকে বেড়াচাঁপার বাস পাওয়া যায় যেটা করে বেড়াচাঁপার মোড়ে নামতে হয় । তাছাড়া শিয়ালদহ থেকে হাসনাবাদ লোক্যালে হাড়োয়া রোড স্টেশনে নেমেও চন্দ্রকেতুগড় যাওয়া যেতে পারে । স্টেশন থেকে এখানে যাওয়ার জন্য টোটো বা অটো পাওয়া যায় ।
৩. চন্দ্রকেতুগড় যাওয়ার আগে কিছুটা পড়াশোনা করে নিতে পারলে ভালো হয় । সেক্ষেত্রে এখানে গিয়ে দেখতে ভালো লাগবে ।
৪. বর্তমানে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই জায়গাটার রক্ষণাবেক্ষণ করে । তবে এখানে ঢুকতে কোনও টিকিট লাগে না বা নিরাপত্তারও কোনও ব্যবস্থা নেই ।
৫. পুরো জায়গাটা দেখতে সবমিলিয়ে আধঘন্টার বেশি লাগার কথা নয় । সারা বছরের যে কোনও সময়েই এখানে যাওয়া চলতে পারে ।
৬. এখান থেকে পাওয়া বিভিন্ন পোড়ামাটির জিনিস, বুদ্ধমূর্তি ইত্যাদি নিয়ে কাছাকাছির মধ্যে একটা সংগ্রহশালা আছে । সেটা খোলা আছে কিনা আগে থেকে জানা থাকলে ভালো হবে ।
৭. এখানে খাওয়াদাওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই তবে বেড়াচাঁপার মোড়ের কাছে অনেক খাবারের দোকান আছে । সেখানে সবধরনের খাবারই পাওয়া যায় ।

উপসংহারঃ

চন্দ্রকেতুগড়
ইতিহাসকে উপেক্ষা করা যে আমাদের একটা বিশেষ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, তার একটা জলজ্যান্ত নিদর্শন চন্দ্রকেতুগড় । খ্রীষ্টপূর্ব ৩০০ শতকে তৈরি একটা জায়গা যার ভগ্নাবশেষ এখনও বর্তমান, সেটা নিয়ে হেলদোল নেই - এ'বোধহয় আমাদের পক্ষেই সম্ভব । এখানে ঘোরার সময়ে আমাদের কালুক ভ্রমণের সময়ে দেখা রাবডেংস্‌ রুইনসের কথা ভীষণভাবে মনে পড়ছিল । তার অবস্থাও চন্দ্রকেতুগড়ের থেকে খুব কিছু ভালো নয় কিন্তু শুধুমাত্র যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের জোরে এই জায়গা পেলিং এর একটা সাইটসিয়িং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে । চন্দ্রকেতুগড়ের ইতিহাস যথেষ্ট শক্তিশালী - প্রায় পনেরশো বছর ধরে এই জায়গা বহু বংশের রাজত্বকালের সাক্ষী । এর নামের উৎস সত্যিই সম্রাট চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য্য কিনা, এই শহর সত্যিই টলেমিবর্ণিত গঙ্গারিদাই কিনা, এর সঙ্গে রোমের সত্যিই প্রত্যক্ষ বাণিজ্যিক যোগাযোগ ছিল কিনা - আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে এগুলো জানা অসম্ভব নয় বলেই আমার বিশ্বাস । কিন্তু তার জন্য থাকা দরকার জানার চেষ্টা আর গবেষণার উৎসাহের । সেইসঙ্গে দরকার সংরক্ষণের পৃষ্ঠপোষকতার । রাজনৈতিকভাবে নির্ভুল না হয়েই বলতে চাই শহরকে আলোকিত করতে যে বিপুল পরিমাণ আলোর ব্যবহার হয়, তার কিছুটা আলো যদি এই ইতিহাসের উপরেও ফেলা যায় তাহলে হয়তো এই মৃতপ্রায় ইতিহাসকে পুনর্জীবিত করে একে দিয়েও কথা বলানো সম্ভব হবে !

চন্দ্রকেতুগড় ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here.

কৃতজ্ঞতা স্বীকার - চন্দ্রকেতুগড়ের সম্পর্কে পড়াশোনা করার জন্য ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে নিচের সাইটটি থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি । অকুন্ঠভাবে স্বীকার করছি আমার লেখার কিছু তথ্য এখান থেকেই সংগ্রহ করা । সাইটটির লেখকের কাছে এ'জন্য আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ ।
https://www.livehistoryindia.com/amazing-india/2019/07/15/chandraketugarh-an-enigma-in-bengal

No comments:

Post a Comment