কৃষ্ণনগর । কলকাতা থেকে রেলপথে দুরত্ব ঠিক ১০০ কিলোমিটার । আর সড়কপথে ১০৮ কিলোমিটার । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের কৃষ্ণনগর । গোপালভাঁড়ের কৃষ্ণনগর । মাটির পুতুলের কৃষ্ণনগর । সরপুরিয়া-সরভাজার কৃষ্ণনগর । বাংলার ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে আসা কৃষ্ণনগর । সেই কৃষ্ণনগর ভ্রমণ নিয়েই আমার ব্লগের এবারের পোস্ট ।
২৫ শে মার্চ, ২০১২ রবিবার সকালে একটা 'কৃষ্ণনগর সিটি জংশন' লোকাল ট্রেন ধরে আমরা গেছিলাম । সঙ্গী আমার স্ত্রী অমৃতা । সারাদিনে শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর যাওয়ার অনেকগুলো ট্রেন চলে । ভাড়া ২০ টাকা । সপ্তাহের অন্যদিনে এই ট্রেনগুলো গ্যালপিং হলেও রবিবার সব স্টেশনে থামে । শিয়ালদহ থেকে কৃষ্ণনগর যেতে লাগে প্রায় পৌনে তিন ঘন্টা । কাজেই ট্রেনে বসতে পাওয়াটা খুব দরকারি । তবে যদি প্রথমে বসতে নাও পাওয়া যায়, নৈহাটীর পর থেকে মোটামুটি ফাঁকা হয়ে যায়ই ।
আমরা ধরেছিলাম সকাল ৯:৩৫ এর ট্রেন যেটা কৃষ্ণনগর পৌঁছল বেলা ১২:২০ তে । ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনের বাইরে গিয়ে একটা সমস্যা হতে পারে যেটার সম্মুখীন আমরা হয়েছিলাম ।কৃষ্ণনগর জায়গাটা ঠিক ঘুরতে যাওয়ার জন্য প্রসিদ্ধ নয় । এর আগে ব্যান্ডেলে গিয়ে যেমন দেখেছিলাম রিক্সা আর অটোওয়ালারা আমাদের দেখেই 'চার্চ চার্চ' বা 'ইমামবাড়া ইমামবাড়া' বলে হেঁকেছিল, এবারে সেরকম হল না । আসলে কৃষ্ণনগর নদীয়া জেলার যাকে বলে সদর, এখানে প্রচুর লোক চাকরি করতে যায়, তাই এখানকার মানুষ অতিথিদের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী নয় ।
কিন্তু এরা আমাদের ব্যাপারে উদ্যোগী না হলে কি হবে, আমরা তো ঘুরতে গেছি । কাজেই উদ্যোগটা আমাদেরই নিতে হল । কৃষ্ণনগরে দেখার জায়গা বলতে প্রধানতঃ চারটে - রাজবাড়ি, ঘুর্ণি, ক্যাথলিক চার্চ আর কলেজ । এগুলো আমরা আগে থেকেই জেনে গেছিলাম । একজন স্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা বলে এগুলোর কোনটা কিভাবে যাওয়া যায়, জেনে নিলাম । এদের মধ্যে কলেজটা 'কৃষ্ণনগর কলেজ' নামেই বিখ্যাত - এটা একটা বহু পুরনো কলেজ । কিন্তু রিক্সাওয়ালাকে বোঝাতেই পারলাম না আমরা ঠিক কোন কলেজটায় যেতে চাইছি । বারবারই বলতে থাকল "এখানে সব মিলিয়ে পাঁচটা কলেজ আছে, আপনারা কোথায় যেতে চান বলুন ।"
কলেজ আমাদের লিস্ট থেকে বাদ দিতে হল । রিক্সা করে প্রথমে গেলাম রাজবাড়ি । নদীয়াধিপতি মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের বিখ্যাত রাজপ্রাসাদ । পাঁচিল দিয়ে ঘেরা বিরাট বড় রাজবাড়ি, কিন্তু ভেতরে ঢুকতে দেয় না । বাইরে থেকে ভেতরটা যতদূর দেখা যায় দেখলাম । রাজবাড়ি সংলগ্ন মাঠে কিছুদিনের মধ্যে একটা মেলা বসবে, তার প্রস্তুতি চলছে । এই মেলা হচ্ছে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত মেলা, প্রতি বছর এপ্রিল মাসে ১৫ দিনের জন্য বসে । এই সময়ে রাজবাড়ির দরজা সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় । আরও জানলাম রাজবাড়িতে বর্তমানে কেউ থাকে না, রাজার বংশধর কলকাতায় থাকেন (কথা শুনে মনে হল এটা আন্দাজে বলছে, তবে এখানে সত্যি-মিথ্যে যাচাই করার কোনও উপায় নেই) আর মেলার সময়ে এখানে আসেন ।
পরবর্তী গন্তব্য ঘুর্ণি । এখানেই কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মাটির পুতুল তৈরি ও বিক্রি হয় । পাশাপাশি সার দেওয়া পরপর দোকান, সেখানে বসেই কারিগর তৈরি করছেন ও বিক্রি করছেন । সে এক দেখার মতো জিনিস ! কোনও ছাঁচ নেই, শুধু হাত ও নানারকম ছোটখাটো ছুরি চিমটে দিয়ে পরপর পুতুল তৈরি হয়ে চলেছে । দুর্গা, গণেশ, রাধাকৃষ্ণ, কালী, চৈতন্যদেব থেকে শুরু করে সাঁওতাল দম্পতি, গ্রামের ছেলে-বুড়ো, সব্জী বিক্রেতা, কামার, কুমোর সবার মুর্তিই তৈরি হয় । মাটির গয়নাও পাওয়া যায় । সব দোকানে প্রায় একই জিনিস পাওয়া যায়, কিন্তু তাও আমরা প্রত্যেকটা দোকান আলাদা আলাদা করে ঘুরে দেখলাম । হাতে অফুরন্ত সময় ছিলনা সেজন্য বেরিয়ে আসতে হল, তা না হলে আরও অনেকক্ষণ থাকতাম ।
এরপর রিক্সাওয়ালাকে বললাম আমাদের একটা খাবারের হোটেলে নিয়ে যেতে । ঘুর্ণির বাসস্ট্যান্ডটা বেশ বড়, রিক্সাওয়ালা আমাদের সেখানে একটা খাবারের হোটেলের সামনে ছেড়ে দিল । স্টেশন থেকে রাজবাড়ি হয়ে ঘুর্ণি ঘুরে এ'পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার জন্য রিক্সাওয়ালা নিল মোট ৬০ টাকা । খাবারের হোটেলে ঢুকলাম । হোটেলটা সেরকম impressive কিছু নয়, পরিষ্কার - এ'টুকু বলা যায় । ভাত-ডাল আর একটা সব্জী - ১৫ টাকা । চিকেন ৬০ টাকা । একবারে যা ভাত দেয়, সেটা একজনের পক্ষে যথেষ্ট । আমাদের দু'জনের মোট বিল হল ১৫০ টাকা ।
এরপর আমাদের গন্তব্য চার্চ । হোটেলের সামনে থেকেই আরেকটা রিক্সা ধরে গেলাম চার্চে । এবারে ভাড়া নিল ১৫ টাকা । এই দুরত্বটার ভাড়া স্থানীয় লোকের জন্য ১০ টাকা, কিন্তু আমাদের থেকে ১৫ টাকাই নিল । একটা কথা এখানে লেখা দরকার যে কলকাতার তুলনায় কিন্তু কৃষ্ণনগরের রিক্সাভাড়া কম । ঘুর্ণির বাসস্ট্যান্ড থেকে চার্চের যা দুরত্ব, সেই দুরত্ব কলকাতায় কিছুতেই ১০ টাকায় যাওয়া যায় না ।
চার্চ দেখে মন ভরে গেল । এমনিতেই চার্চ জায়গাটা খুব পরিষ্কার আর শান্ত হয়, তাই চার্চের ভেতরে গেলে একটা অন্যরকম অনুভূতি হয় । সেটা ঈশ্বরে ভক্তি না থাকলেও হয় । এখানে প্রধান চার্চের পাশে আরেকটা ছোট চার্চ আছে, সেটার নাম Christo Mandir । প্রধান চার্চটা দুপুরে বন্ধ থাকে, বিকেল ৪ টের সময়ে খোলে । Christo Mandir সারাক্ষণ খোলা । এখানে জুতো পরে ঢোকা বা ছবি তোলার কোনও বিধিনিষেধ নেই, যেটা আছে সেটা একটা অনুরোধ - নীরবতা বজায় রাখার । বলাই বাহুল্য, সেটা অগ্রাহ্য করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না । বিশাল একটা ছ'কোণা হলঘরের মতো জায়গা যার সমস্ত দেওয়াল জুড়ে যীশুর জীবনী । সিলিংটা গম্বুজের মতো, সেখানে আবার আকাশের তারার মতো নক্সা করা আছে । সব মিলিয়ে খুব সুন্দর ।
এই Christo Mandir এর বাইরেটাও খুব অভিনব । কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার থেকে শুরু করে গান্ধীজির ডান্ডি অভিযান - সব কিছুরই বিশাল বিশাল মূর্তি আছে । এছাড়া আছে বিভিন্ন Saint দের মূর্তি । একটা চার্চে এরকম জিনিস আমরা কখনও দেখিনি । কিন্তু এগুলোর বিশেষত্ব কী, সেটা জানার কোনও উপায় নেই, কারণ ত্রিসীমানার মধ্যে আমরা দু'জন ছাড়া আর কোনও লোক নেই ।
এই Christo Mandir থেকে বেরিয়ে প্রধান চার্চে গেলাম । চার্চ বন্ধ, তবে কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকা যায় । খুব সুন্দর করে ঘাস ছাঁটা একটা মাঠ, আর একপাশে সুন্দর ফুলের বাগান ।
এখান থেকে বেরিয়ে আরেকটা জায়গা আছে, সেটাকে কি বলা উচিৎ সেটা বলা মুস্কিল । দু'দিকে সিঁড়ির মতো উঠে গেছে যার ধাপে ধাপে crucifiction এর ঘটনাটার মূর্তি রাখা আছে । সিঁড়ি দিয়ে উঠে যেখানে পৌঁছনো যায়, সেখানে ক্রুশবিদ্ধ যীশুর একটা মূর্তি আছে ।
এবার ফেরার পালা । ২০ টাকা রিক্সাভাড়া দিয়ে চার্চ থেকে সোজা স্টেশনে চলে এলাম । ঘোরা মোটামুটি ভালই হয়েছে, শুধু বাকি আছে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত সরপুরিয়া-সরভাজা কেনা । স্টেশনের কাছে কোনও দোকান নেই, তাই আমাদের আবার কিছুটা হেঁটে শহরের দিকে যেতে হল । সেখানেও একটাই দোকান খোলা পাওয়া গেল । সরপুরিয়া-সরভাজা দু'টোরই দাম ৩০০ টাকা/কেজি ।
আমাদের ফেরার ট্রেনের সময় ছিল বিকেল ৪:২৫ ; মিষ্টি কিনে স্টেশনে এসে দেখলাম ট্রেন এসে গেছে । ট্রেন ছাড়ল যথাসময়ে । ফেরার পথে ট্রেনে সাংঘাতিক ভীড় হয়েছিল, সৌভাগ্যবশতঃ আমরা আগে থেকে উঠেছিলাম বলে বসতে পেয়েছিলাম । শিয়ালদহে ট্রেন পোঁছল সাতটার একটু পরে ।
সারসংক্ষেপঃ
১. কলকাতা থেকে রেলপথে ঠিক ১০০ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগর একটা বেশ সুন্দর দেখার জায়গা । ট্রেনে যাওয়ার খরচ সবচেয়ে কম, এছাড়া কলকাতা থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যেতে পারে ।
২. জায়গাটা ঠিক ঘোরার জায়গা হিসেবে প্রসিদ্ধ নয়, তাই আগে থেকে একটু জেনে যাওয়ার দরকার যে এখানে কি কি দেখার জিনিস আছে, সেগুলোর কোনটা কোথায় আর কিভাবে যেতে হয় ।
৩. ২ জন ঘোরার জন্য রিক্সা হচ্ছে সবচেয়ে সুবিধেজনক । তবে লোকসংখ্যা বেশি হলে অটো ভাড়া করে নেওয়া যেতে পারে ।
৪. এখানে দেখার জায়গা বলতে রাজবাড়ি, কলেজ, ঘূর্ণি আর চার্চ । এর মধ্যে রাজবাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয় না ।
৫. ঘূর্ণি অবশ্যই দেখা উচিৎ । এখানকার মাটির পুতুল পৃথিবীবিখ্যাত আর তার কারণটা এখানে গেলে স্পষ্ট বোঝা যায় ।
৬. চার্চটা দুপুরে বন্ধ থাকে, বিকেল ৪ টেয় খোলে । চার্চের পাশে একটা Christo Mandir আছে যেটা সারাক্ষণ খোলা থাকে । এটা খুব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।
৭. খাওয়াদাওয়া এককথায় চলনসই । সাধারণ ভাতের হোটেল আছে অনেক, তবে তার চেয়ে বেশি ভালো রেস্টুরেন্ট আশা না করাই উচিৎ ।
উপসংহারঃ
কৃষ্ণনগর দেখার জায়গা হিসেবে খুব আকর্ষণীয় কিছু নয়, কাজেই 'না দেখলে জীবন অসম্পূর্ণ' - তা নয় কখনওই । কিন্তু যদি ছোটখাটো জায়গায় ঘোরার নেশা থাকে আর তার সঙ্গে 'একদিনে ঘুরে আসতে হবে' এরকম বাধ্যবাধকতা থাকে তাহলে এখানে যাওয়া যেতে পারে । অল্প টাকা খরচ হবে, আর যেটা হবে সেটা উশুল হয়ে যাবে এটা জোর দিয়ে বলাই যায় । মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী এই শহরে এমন অনেক কিছু আছে, যা দেখলে সেই সময়টাকে ছোঁওয়া যায় । কৃষ্ণনগর পর্যটককে হয়তো সেভাবে 'আকর্ষণ' করে না, কিন্তু beauty lies in the eyes of the beholder - এই কথাটা কৃষ্ণনগরের জন্য আশ্চর্যজনকভাবে সত্য !
কৃষ্ণনগর ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here:
রাজবাড়ির প্রধান দরজা |
দোকানে রাখা মাটির পুতুল |
এরপর রিক্সাওয়ালাকে বললাম আমাদের একটা খাবারের হোটেলে নিয়ে যেতে । ঘুর্ণির বাসস্ট্যান্ডটা বেশ বড়, রিক্সাওয়ালা আমাদের সেখানে একটা খাবারের হোটেলের সামনে ছেড়ে দিল । স্টেশন থেকে রাজবাড়ি হয়ে ঘুর্ণি ঘুরে এ'পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার জন্য রিক্সাওয়ালা নিল মোট ৬০ টাকা । খাবারের হোটেলে ঢুকলাম । হোটেলটা সেরকম impressive কিছু নয়, পরিষ্কার - এ'টুকু বলা যায় । ভাত-ডাল আর একটা সব্জী - ১৫ টাকা । চিকেন ৬০ টাকা । একবারে যা ভাত দেয়, সেটা একজনের পক্ষে যথেষ্ট । আমাদের দু'জনের মোট বিল হল ১৫০ টাকা ।
এরপর আমাদের গন্তব্য চার্চ । হোটেলের সামনে থেকেই আরেকটা রিক্সা ধরে গেলাম চার্চে । এবারে ভাড়া নিল ১৫ টাকা । এই দুরত্বটার ভাড়া স্থানীয় লোকের জন্য ১০ টাকা, কিন্তু আমাদের থেকে ১৫ টাকাই নিল । একটা কথা এখানে লেখা দরকার যে কলকাতার তুলনায় কিন্তু কৃষ্ণনগরের রিক্সাভাড়া কম । ঘুর্ণির বাসস্ট্যান্ড থেকে চার্চের যা দুরত্ব, সেই দুরত্ব কলকাতায় কিছুতেই ১০ টাকায় যাওয়া যায় না ।
Christo Mandir এর ভেতরে |
Christo Mandir এর বাইরে - কলম্বাসের আমেরিকা আবিষ্কার |
এই Christo Mandir থেকে বেরিয়ে প্রধান চার্চে গেলাম । চার্চ বন্ধ, তবে কম্পাউন্ডের ভেতরে ঢোকা যায় । খুব সুন্দর করে ঘাস ছাঁটা একটা মাঠ, আর একপাশে সুন্দর ফুলের বাগান ।
ধাপের একেবারে ওপরে |
স্টেশন - ফেরার পথে |
আমাদের ফেরার ট্রেনের সময় ছিল বিকেল ৪:২৫ ; মিষ্টি কিনে স্টেশনে এসে দেখলাম ট্রেন এসে গেছে । ট্রেন ছাড়ল যথাসময়ে । ফেরার পথে ট্রেনে সাংঘাতিক ভীড় হয়েছিল, সৌভাগ্যবশতঃ আমরা আগে থেকে উঠেছিলাম বলে বসতে পেয়েছিলাম । শিয়ালদহে ট্রেন পোঁছল সাতটার একটু পরে ।
সারসংক্ষেপঃ
১. কলকাতা থেকে রেলপথে ঠিক ১০০ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণনগর একটা বেশ সুন্দর দেখার জায়গা । ট্রেনে যাওয়ার খরচ সবচেয়ে কম, এছাড়া কলকাতা থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যেতে পারে ।
২. জায়গাটা ঠিক ঘোরার জায়গা হিসেবে প্রসিদ্ধ নয়, তাই আগে থেকে একটু জেনে যাওয়ার দরকার যে এখানে কি কি দেখার জিনিস আছে, সেগুলোর কোনটা কোথায় আর কিভাবে যেতে হয় ।
৩. ২ জন ঘোরার জন্য রিক্সা হচ্ছে সবচেয়ে সুবিধেজনক । তবে লোকসংখ্যা বেশি হলে অটো ভাড়া করে নেওয়া যেতে পারে ।
৪. এখানে দেখার জায়গা বলতে রাজবাড়ি, কলেজ, ঘূর্ণি আর চার্চ । এর মধ্যে রাজবাড়ির ভেতরে ঢুকতে দেয় না ।
৫. ঘূর্ণি অবশ্যই দেখা উচিৎ । এখানকার মাটির পুতুল পৃথিবীবিখ্যাত আর তার কারণটা এখানে গেলে স্পষ্ট বোঝা যায় ।
৬. চার্চটা দুপুরে বন্ধ থাকে, বিকেল ৪ টেয় খোলে । চার্চের পাশে একটা Christo Mandir আছে যেটা সারাক্ষণ খোলা থাকে । এটা খুব বৈশিষ্ট্যপূর্ণ ।
৭. খাওয়াদাওয়া এককথায় চলনসই । সাধারণ ভাতের হোটেল আছে অনেক, তবে তার চেয়ে বেশি ভালো রেস্টুরেন্ট আশা না করাই উচিৎ ।
উপসংহারঃ
কৃষ্ণনগর |
কৃষ্ণনগর ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here: