আমি ব্লগ লেখার খুব বেশি সমর্থক কোনওদিনও ছিলাম না, সত্যি কথা বলতে কি এখনও যে আছি তা নয় । তার একটা প্রধান কারণ আমার ধারণা ব্লগ লেখার থেকেও পড়া অনেক বেশি ক্লান্তিকর । অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, অনেক সময়ই পড়তে শুরু করে শেষ করা হয়ে ওঠে না । নিজের ধৈর্য এবং/অথবা আগ্রহের অভাবকে 'ঠিক আছে, বাকিটা পরে পড়ব' জাতীয় অজুহাত দিয়ে ঢেকে দিই - আর আমরা সবাই জানি সেই 'পরে' টা আর কখনওই আসে না । তো, এই কারণে আমি ঠিক করেছি আমার ব্লগকে কখনওই অন্যের ক্লান্তির কারণ ঘটাব না, আমার ব্লগের বিষয় হবে প্রধানতঃ ভ্রমণ । আমার মতো যেসব বাঙালিরা ঘুরতে ভালোবাসে, তাদের জন্য আমার ব্লগ হবে তথ্যের একটা উৎস । আমার নিজের একটা অভ্যেস আছে, কোনও জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার আগে সেই জায়গাটা সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি, আর ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে আমার বরাবরই মনে হয়েছে যে ইন্টারনেটে লেখালেখি করার ব্যাপারে বাঙালিদের থেকে কুঁড়ে খুব কম শিক্ষিত জাতই আছে । আমার মতো যেসব বাঙালিরা আছে, যারা ইন্টারনেটে কোনো একটা ইংরিজীতে লেখা দেখলেই না পড়ার চেষ্টা করে, তাদের জন্য আমার ব্লগ সহায়ক হবে, এই বিশ্বাস নিয়ে শুরু করছি আমার ভ্রমণকাহিনী । আগেই বলে রাখি, আমি স্ট্যাটিসটিক্সের ছাত্র ছিলাম, তাই আমার ব্লগে তত্ত্বের থেকে তথ্যের দেখাই মিলবে বেশি ।

Saturday, September 12, 2020

বক্‌খালি ভ্রমণ (দ্বিতীয়বার)

প্রথমেই বলি বক্‌খালি ভ্রমণ সম্পর্কে নতুন করে লেখাটা আমার কাছে একটা বিশেষ ঘটনা কারণ আজ থেকে দশ বছর আগে বক্‌খালি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দিয়েই আমার এই ভ্রমণ ব্লগের জন্ম হয়েছিল । চলতি বছরটা আমার ব্লগের দশ বছর পূর্তির বছর । আর সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই 'ভরসাফুর্তি' (বর্ষপূর্তি) উদ্‌যাপন করার জন্য বক্‌খালি ভ্রমণের থেকে ভালো আর কিছু হতেই পারত না (না, আমার কাউকে খাওয়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই, দুঃখিত !)।

আমার গতবারের বক্‌খালি ভ্রমণ সম্পর্কে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করতে হবে । এ'বারেরটা পড়ার আগে আগেরবারেরটা পড়ে নিলে ভালো হবে বলে আমার মনে হয় ।

২০১০ থেকে ২০২০ - দশ বছর । অনেকটা সময় । এই সময়ের মধ্যে আমাদের রাজ্যে সরকার থেকে আমার নিজের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস - বদলে গেছে অনেক কিছুই । স্বয়ং আমিই বদলে গেছি ! সেইসঙ্গে বদলে গেছে বক্‌খালি ভ্রমণের ভ্রমণসঙ্গী । গতবার আমরা গিয়েছিলাম ছ'জন বন্ধু আর এ'বারে আমার সঙ্গে অমৃতা, বাবা, মা, কথা, কলি আর আমার বড়মাসি । গতবার বক্‌খালি ভ্রমণ ছিল 1N/2D আর এবারে ডে-আউট ।

যাওয়ার পথে
১২ই সেপ্টেম্বর ২০২০, শনিবার । রাজ্যে এবং দেশে করোনা ভাইরাসের অতিমারী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য 'আন্‌লক' প্রক্রিয়া কিছুদিন হল শুরু হয়েছে । এরই মধ্যে আমরা বেরিয়ে পড়লাম আমাদের গাড়ি নিয়ে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ । কলকাতা থেকে বক্‌খালি দু'রকম রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় - একটা ই এম বাইপাস - কামালগাজী - বারুইপুর - আমতলা হয়ে আর অন্যটা খিদিরপুর - ডায়মন্ড হারবার রোড - বেহালা - আমতলা হয়ে । আমার মনে হয় দ্বিতীয়টা দিয়ে যাওয়া বাঞ্ছনীয় কারণ এতে সময় কম লাগে । আমরা বেহালার কাছে একটা মিও আমোরে থেকে স্যান্ড-উইচ্‌ ইত্যাদি কিনে নিলাম সকাল ও সন্ধ্যের জলখাবারের জন্য । তারপর আরও কিছুক্ষণ চলার পরে সাড়ে দশটা নাগাদ রাস্তায় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে সেগুলোর সদ্ব্যবহার করে ফেললাম ।

রাস্তা সম্পর্কে একটা জরুরি তথ্য এখানে দেওয়া দরকার । ডায়মন্ড হারবার রোড ধরে চলতে চলতে শিরাকোলের কাছে রাস্তাটা দু'ভাগে ভাগ হয়ে গেছে - ডানদিকে চলে গেছে ডায়মন্ড হারবার রোড আর সোজা চলে গেছে উস্থি রোড । গুগল্‌ ম্যাপ বলে এই উস্থি রোড ধরে যাওয়ার জন্য কারণ এতে সময় সামান্য কিছুটা কম লাগে আর দূরত্ব অনুযায়ীও এটা প্রায় ৮ কিলোমিটার কম । কিন্তু এই রাস্তার প্রধান সমস্যা হল এটা জনবহুল, কিছু জায়গায় ভাঙাচোরা এবং উস্থি বাজারের কাছে বিশেষ যানজটসঙ্কুল । এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে ডায়মন্ড হারবার পড়ে না । প্রায় ১৮ কিলোমিটার চলার পর এই রাস্তা আবার রাজ্যসড়ক ১২ এর সঙ্গে মিলিত হয়, সেখান থেকে রাস্তা আবার সুন্দর । আমরা যাওয়ার সময়ে এই রাস্তা দিয়ে গেলেও ফেরার পথে ডায়মন্ড হারবার হয়েই ফিরেছি ।

নামখানা ব্রীজ থেকে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী
সাড়ে এগারোটা নাগাদ পথে নামখানা ব্রিজ পড়ল । আগেরবার যখন গিয়েছিলাম তখন এই ব্রিজ তৈরি হয়নি, ভেসেলে করে নদী পার হতে হত । গত বছর থেকে এই ব্রিজ চালু হয়েছে, এখন গাড়ি ব্রিজের সাহায্যের পারাপার করে । ব্রিজটা বেশ সুন্দর দেখতে, ক্যান্টিলিভার সিস্টেম । আমরা ব্রিজের ওপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে দু'দিকের অসাধারণ সৌন্দর্য্য উপভোগ করলাম । নিচ দিয়ে বয়ে চলেছে হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদী যার ওপর ভেসে রয়েছে অগণিত ছোট বড় নৌকো, স্টীমার, লঞ্চ ইত্যাদি জলযান । এখান থেকে আর সামান্য পরেই এই নদী হুগলী নদীর সঙ্গে মিলিত হয়েছে, সেই মোহনার জায়গাটাও ব্রিজের ওপর থেকে দেখা যায় । ব্রিজ থেকে নেমে ব্রিজ ব্যবহারের টোল ট্যাক্সের টিকিট কেটে আমরা আবার বক্‌খালির দিকে রওনা দিলাম ।


বক্‌খালির পার্কিং এরিয়া
আরও আধঘন্টা মতো চলার পরে সামনে বিশাল বিশাল বাতপতাকা (উইন্ড মিল) দেখে বুঝলাম আমরা বক্‌খালি পৌঁছে গেছি । সমুদ্র অবশ্য এখান থেকে আরও দু'কিলোমিটার আর এই পথটার মধ্যেই বক্‌খালির যাবতীয় হোটেলগুলো পড়ে । এটা মনে রাখতে হবে বক্‌খালিতে সমুদ্রের একেবারে কাছে কিন্তু কোনও হোটেল নেই, কোনও হোটেল থেকেই সমুদ্র দেখা যায় না । সমুদ্রের একেবারে কাছে পৌঁছে দেখলাম সেখানে একটা সুবিশাল গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে । সেইসঙ্গে তার লাগোয়া একটা স্নানাগারও তৈরি হয়েছে যেটা ব্যবহারযোগ্য । সমুদ্রস্নান করার পরে কেউ চাইলে এখানে দ্বিতীয়বার চান করে নিয়ে হোটেলে ফিরতে পারে । আবার আমাদের মতো যারা ডে-আউট ট্রিপে বক্‌খালি আসে, তারাও সমুদ্রে চান করে এখানে দ্বিতীয়বার চান করে পোষাক পরিবর্তন করে নিতে পারে । বক্‌খালিতে ডে-আউট ট্রিপের জন্য হোটেল বুক করার কোনও দরকার নেই ।

বক্‌খালির সমুদ্রে স্নান
গাড়ি পার্কিং করে আমরা এগিয়ে গেলাম সমুদ্রের দিকে । বক্‌খালিতে সমুদ্রের ঢেউ বিশাল কিছু নয়, কিন্তু সৌন্দর্য্য মনোরম । আমরা তৈরি হয়েই গিয়েছিলাম - আমি আর কথা-কলি ভরপুর চান করলাম । এই অতিমারী পরিস্থিতিতে সবচেয়ে যেটা একটা সুবিধে পাওয়া গেল সেটা হল বিচে বেশ কিছু লোকজন থাকলেও সবাই সবার থেকে অনেকটা করে দূরে রয়েছে, ফলে একটা শারীরিক দূরত্ব স্বাভাবিকভাবেই মেনে চলা হয়ে যাচ্ছে । আমরা যেখানে চান করেছি, তার অন্ততঃ একশ' মিটারের মধ্যে আর কেউ ছিল না । আধঘন্টা চান করে আমরা উঠে পড়লাম ।

পার্কিং লটের লাগোয়া স্নানাগারে দ্বিতীয়বার চান করে একটা হোটেলে ঢুকলাম । এই এলাকায় অনেকগুলো ভাতের হোটেল আছে, খাবার মান আর দাম প্রায় সবগুলোতেই এক । হোটেলে স্যানিটাইজেশনের বিরাট কিছু ব্যবস্থা নেই - ঐ স্যানিটাইজার দিয়ে টেবিল মোছা ছাড়া আর আমাদের হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করা ছাড়া । তবে একটা তথ্য জানলাম যে বক্‌খালিতে সেভাবে করোনার প্রকোপ ছড়ায়নি । ফাঁকা জায়গা আর লোকজন কম হওয়াটাই এইসব জায়গার বাড়তি সুবিধা । আমরা ইলিশ থালি অর্ডার দিলাম । ইলিশের পিস্‌টা মাঝারি আর স্বাদ বেশ ভালো । থালির দাম মাথাপিছু ১৮০/- টাকা ।

বক্‌খালির বিচ্‌
খাওয়ার পরে আবার গেলাম সমুদ্রের ধারে । এখানে সমুদ্রের ধারে সেরকম বসার জায়গা নেই আর দুপুর রোদে বালির ওপরে বসাটাও মোটেই আরামদায়ক অনুভূতি নয় । কিছুদূর হেঁটে গেলে একটা টাওয়ার গোছের জিনিস আছে, যদিও সেখানে বসার জায়গা বিশেষ নেই, তবে রোদের তেজ এড়িয়ে ছায়ায় দাঁড়ানোর সুযোগ আছে । আমরা কিছুক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ ফেরার পথ ধরলাম ।


আগেই ঠিক ছিল ফেরার পথে ডায়মন্ড হারবার হয়ে ফিরব । ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গার কাছাকাছি আসার আগেই একটা মাছের বাজার পড়ে, যেখানে নানা জাতের নানা সাইজের মাছ দেখে বেশ লোভ লাগে । এখান থেকে কলকাতা ও শহরতলীর একটা বিরাট অংশের মাছের সরবরাহ হয় আর সেটা এখানকার মাছের সম্ভার দেখে সহজেই অনুমান করা যায় । এই মাছের ভিড়ে ইলিশ মাছও আছে, তবে নিয়ে আসার সুবিধে হবে না বলে আমরা আর গাড়ি থেকে নেমে দরদাম করলাম না । সোজা ডায়মন্ড হারবারের নদীর ধারে এসে দাঁড়ালাম ।

ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গার ওপরে সূর্য্যাস্ত
আগেরবার বক্‌খালি ভ্রমণের সময়ে আমরা ডায়মন্ড হারবারে এসেছিলাম, এছাড়া বছর দুয়েক আগে একবার শুধু ডায়মন্ড হারবারেই ঘুরে গেছি । কিন্তু এবারে দিনের যে সময়টায় এখানে এলাম, সেরকম সময়ে কখনও আসিনি । বিকেল সোয়া পাঁচটা বাজে, সূর্য্যদেব নিজের ল্যাপটপে আজকের মতো শাট-ডাউন দেওয়ার উপক্রম করছেন । আর গঙ্গার জল তাঁর চলে যাওয়ার ছবিটা নিজের বুকে ধরে রাখছে । সে এক অন্যবদ্য দৃশ্য ! ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গার বাঁধানো পাড়ে সুন্দর বসার জায়গা আছে, এখানে ভীড়ও ভালোই । তারই মধ্যে একটা অপেক্ষাকৃত ফাঁকা জায়গায় আমরা কিছুক্ষণ বসলাম ।

মিনিট কুড়ি বসার পরে আবার রওনা দিলাম । বাড়ি পৌঁছতে রাত আটটার কিছু বেশি হল । শেষ হল অতিমারী আবহে একটা ছোট্ট কিন্তু অসাধারণ ভ্রমণ অভিজ্ঞতা !

সারসংক্ষেপ ঃ

১. কলকাতার সবথেকে নিকটবর্তী সমুদ্র বিচ্‌ হল বক্‌খালি । কলকাতা থেকে বক্‌খালির দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটারের মতো আর যেতে চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টা মতো লাগে ।
২. বক্‌খালিতে ডে-আউট করা যায় আবার চাইলে রাতে থাকাও যেতে পারে । পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন দপ্তরের হোটেল ছাড়াও এখানে প্রচুর ছোটবড় বেসরকারী হোটেল আছে ।
৩. বক্‌খালিতে একরাতের বেশি থাকার মানে হয় না, তবে এখান থেকে আরও কয়েকটা জায়গা ঘুরতে যাওয়া যেতে পারে । সেই জায়গাগুলোর মধ্যে হেনরি আইল্যান্ড, জম্বুদ্বীপ, সাগরদ্বীপ এগুলো উল্লেখযোগ্য ।
৪. বক্‌খালি বিচের কাছেই বেশ বড় গাড়ি পার্কিং-এর ব্যবস্থা আছে । এখানে একটা স্নানাগারও আছে যেটা দারুণ কিছু না হলেও কাজ চালানোর পক্ষে যথেষ্ট ।
৫. পার্কিং-এর জায়গা থেকে বিচ্‌ হেঁটে ৩০০ মিটারের মতো । এই যাওয়ার পথে একাধিক ভাতের হোটেল, নানারকম জিনিসপত্রের দোকান ইত্যাদি আছে ।
৬. বক্‌খালির বিচ্‌সংলগ্ন ভাতের হোটেলের খাবারের মান ও দাম প্রায় একইরকম । একটু উন্নতমানের হোটেল চাইলে বিচ্‌ থেকে কিছুটা ভিতরের দিকে আসতে হবে ।
৭. গাড়ি নিয়ে গেলে বক্‌খালি যাওয়া বা ফেরার পথে ডায়মন্ড হারবার হয়েই যাতায়াত করা শ্রেয় । ডায়মন্ড হারবারে গঙ্গার ওপর সূর্য্যাস্তের দৃশ্য একটা অতিরিক্ত পাওনা । 

উপসংহার ঃ

বক্‌খালি
বক্‌খালি আমার অত্যন্ত প্রিয় একটা ভ্রমণস্থল । শুধু আমার ব্লগের প্রথম পোস্ট বলে নয়, বক্‌খালি জায়গাটা আমাকে সবসময়েই বিশেষভাবে আকর্ষণ করে । আমার লেখার প্রথমেই লিখেছি ২০১০ থেকে ২০২০ - এই দশ বছরে অনেক কিছু বদলে গেছে । কিন্তু মজার ব্যাপার - এই দশ বছরে একটুও বদলায়নি বক্‌খালির সমুদ্র । একটুও বদলায়নি বক্‌খালির বিচ্‌ । একটুও বদলায়নি বক্‌খালির বিচ্‌ সংলগ্ন দোকানগুলো । একটুও বদলায়নি এখানকার শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ যা আমাকে সবসময়েই মুগ্ধ করে । ঠিক যেমন করেছিল প্রথমবারেও ।  আমার এই দ্বিতীয়বার বক্‌খালি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাই শেষ করছি প্রথমবারের লেখার শেষ কয়েকটা লাইন দিয়েই - "জায়গাটার একটা স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য আছে, যেটা খুব জনবহুল জায়গায় কখনওই পাওয়া যায় না । দীঘা পুরী মন্দারমণির মতো ঘ্যাম নয়,  অল্প হোটেল-দোকান আর শান্ত নিরিবিলি পরিবেশ নিয়ে বক্‌খালি থাকুক বক্‌খালিতেই ।"

বক্‌খালি ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here.