বিশেষ সতর্কীকরণঃ
১. এই ভ্রমণে আমরা জনবহুল স্থানে, বিশেষতঃ স্টেশনে, ট্রেনে ইত্যাদি জায়গায় সারাক্ষণ মাস্ক পরে থেকেছি এবং দূরত্ববিধি যথাসম্ভব মেনে চলার চেষ্টা করেছি । সেইসঙ্গে প্রয়োজনমতো হ্যান্ড স্যানিটাইজারও ব্যবহার করেছি ।
২. এই পুরো ভ্রমণে আমরা কোনও অবস্থাতেই কোনও পলিথিন বা প্লাস্টিক ব্যবহার করিনি । অর্থাৎ প্লাস্টিকের ব্যবহার না করেও এই ভ্রমণ অনায়াসে করা যায় ।
৩. এই পুরো ভ্রমণে আমরা কোনও কাগজ ব্যবহার বা নষ্ট করিনি । হোটেল বুকিং-এর রশিদ-এর প্রিন্ট আউট ব্যবহারের কোনও প্রয়োজন হয় না ।
৪. এই পুরো ভ্রমণে আমাদের দলের কেউ ধূমপান করেনি । ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর ।
আমার ব্লগের সমস্ত পাঠকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে করোনা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করার জন্য সরকারী বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য । সেইসঙ্গে অনুরোধ করছি প্লাস্টিক, অপ্রয়োজনীয় কাগজের ব্যবহার আর ধূমপান বর্জন করার জন্য ।
ভ্রমণপথঃ
শনিবার ২২শে জানুয়ারী, ২০২২ঃ হাওড়া থেকে রাত্রি ১০টায় দীঘা নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন ।
রবিবার ২৩শে জানুয়ারী, ২০২২ঃ (সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লেট করে !) দুপুর ৩টে - নিউ জলপাইগুড়ি - কার্সিয়ং - কার্সিয়ঙে রাত্রিবাস ।
সোমবার ২৪শে জানুয়ারী, ২০২২ঃ কার্সিয়ঙে লোক্যাল সাইট সিয়িং - কার্সিয়ঙে রাত্রিবাস ।
মঙ্গলবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২২ঃ সকাল ১০ঃ৩০ মিনিটে চেক্ আউট - গাড়িতে সিটং - সিটং-এ রাত্রিবাস।
বুধবার ২৬শে জানুয়ারী ২০২২ঃ সকাল ১০টায় চেক্ আউট - সিটং-এর লোক্যাল সাইট সিয়িং - নিউ জলপাইগুড়ি - রাত্রি ৮টায় দার্জিলিং মেল।
বৃহস্পতিবার ২৭শে জানুয়ারী ২০২২ঃ ভোর ৬টায় শিয়ালদহ।
জানুয়ারী মাসের এই ২৩-২৬ এর ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার একটা সুবিধে হল হয়তো ঠান্ডার কারণেই এই সময়ে পাহাড়ের জায়গাগুলো তুলনামূলকভাবে ফাঁকা থাকে। ফলে একদিকে যেমন হোটেল, গাড়ি ইত্যাদি সস্তায় পাওয়া যায় তেমনই অন্যদিকে ভীড় কম থাকায় ঘুরতেও ভালো লাগে। কয়েকবছর আগে দার্জিলিঙে গিয়ে এই সুবিধেটা বিশেষভাবে উপলব্ধি করেছিলাম বলে এবারেও পাহাড়ে যাওয়ারই ঠিক করা হল। দার্জিলিং আগে গিয়েছি আর তাকদা ভ্রমণের সময়ে কালিম্পং আর ডেলোটাও ঘোরা হয়ে গেছে। কিন্তু কার্সিয়ং কখনও যাইনি, প্রতিবারই দার্জিলিং যাওয়ার সময়ে কার্সিয়ং পেরিয়ে চলে গিয়েছি। তাই এবারে আর পেরিয়ে চলে গেলাম না - দু'দিন কার্সিয়ং আর একদিন সিটং ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়েই আমার ব্লগের এবারের পোস্ট।
এবারে আমরা সাতজন অর্থাৎ আমি, অমৃতা, মা, বাবা, কথা, কলি আর সোনামাসি। শনিবার ২২শে জানুয়ারী, ২০২২ হাওড়া স্টেশন থেকে রাত দশটার সময়ে দীঘা নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে আমাদের যাত্রা শুরু হল। এবারে একটা বেশ অবাক করার মতো ঘটনা হল ট্রেনটা ছিল বেশ ফাঁকা। কথা-কলির এখন হাফ্ টিকিট লাগে আর সেই কারণে বার্থ ছিল না কিন্তু ট্রেনটা ফাঁকা থাকায় আমরা অনায়াসে একটা কুপের আটটা বার্থই ব্যবহার করার সুযোগ পেয়ে গেলাম।
এখানে জানিয়ে রাখি ভারতীয় রেলের এখনকার নিয়ম হল পাঁচ থেকে বারো বছরের বাচ্চাদের জন্য যদি হাফ্ টিকিট কাটা হয় তাহলে বার্থ পাওয়া যাবে না। আর যদি বার্থ নিতে হয় তাহলে ফুল টিকিট কাটতে হবে। ০৬/০৩/২০২০ থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে।
ট্রেনে শোওয়া বসার অসুবিধে না হলেও সেটা নিয়ে অসুবিধে হল সেটা হল ট্রেনটার চলা। এর আগে রিশপ ও কোলাখাম ভ্রমণের সময়ে এই ট্রেনে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের হয়েছিল আর আমি নিজেই লিখেছিলাম "রাতের কোনও ট্রেনে একান্তই বুকিং পাওয়া না গেলে তবেই পাহাড়িয়া এক্সপ্রেসে যাওয়া উচিৎ, না হলে নয়"। এবারেও আমরা অন্য কোনও ট্রেনে বুকিং না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই ট্রেনের টিকিট কেটেছিলাম। আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতার বিস্তারিত বিবরণ দিচ্ছি না, শুধু তথ্যের খাতিরে এইটুকু জানাচ্ছি লেট্ করা ব্যাপারটাকে একটা শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে ট্রেন সকাল ৯ঃ৩০ এর জায়গায় আমাদের নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে দিল বিকেল ৩টেয় ! এই ট্রেনে আবার প্যান্ট্রি নেই, ফলে সঙ্গে যথেষ্ট খাবার না থাকলে আমাদের বেশ অসুবিধের মধ্যেই পড়তে হত।
| কার্সিয়ঙের পথে |
| আমাদের ঘর |
বিকেল সাড়ে পাঁচটা বাজে আর ইতিমধ্যেই এখানকার শীতটা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পারছিলাম। ঘরে রুম হিটারের ব্যবস্থা নেই, মনে হচ্ছিল থাকলে মন্দ হত না। বিছানার সঙ্গে লেপ-কম্বল ইত্যাদি বেশ ভালো পরিমাণেই দেওয়া আছে আর সেগুলো একটুও বাড়াবাড়ি বলে মনে হয় না। এখানকার নিয়ম হল রাত আটটার সময়ে ডিনার করতে ডাইনিং রুমে যেতে হয়। ডাইনিং রুমে গিয়ে অনুভব করলাম ঘরে যে ঠান্ডাটা লাগছিল সেটা আসলে কিছুই না ! ডাইনিং রুমটা পুরোটাই কাঠের তৈরি আর সেইসঙ্গে কাচের জানালা। গরম জামাকাপড়, কানঢাকা টুপি, দস্তানা মোজা পরে এমনিতে খুব ঠান্ডা না লাগলেও কেউ কোনও কারণে রুমের দরজাটা খুললে ঠান্ডা বেশ ভালোভাবেই মালুম পাওয়া যাচ্ছিল। যাই হোক, ভাত রুটি চিকেন ডিম ইত্যাদি দিয়ে ডিনার সেরে নেওয়া হল। খরচ হল ৭৫৬/- টাকা। ডাইনিং রুমের লাগোয়া একটা বেসিন আছে কিন্তু সেখানকার কল থেকে গরমজল পড়ে না বলে হোটেলের লোকেরা আমাদের বলল ঘরে গিয়ে হাত ধুতে, আমরা সেটাই করলাম (জলটা আসলে কতটা ঠান্ডা সেটা আমি পরেরদিন রাতে একবার পরীক্ষা করতে গিয়েছিলাম। পাঠকদের পরামর্শ দেওয়ার জন্য শুধু এটাই বলব "দিজ অ্যাকশনস্ আর পারফর্মড বাই এক্সপার্টস্। ডু নট ট্রাই দিস ইভেন ফর এক্সপেরিমেন্টিং" !)।
| কার্সিয়ং স্টেশন |
| ডাইনিং রুম থেকে বাইরের দৃশ্য |
| রৌদ্রছায়া ট্যুরিজম প্রপার্টির সামনে |
| ঈগল্স্ ভিউ পয়েন্ট |
| হনুমান স্ট্যাচু |
| ডাইহিল হন্টেড হাউস |
| বটানিক্যাল গার্ডেনে |
গাড়ি মোটামুটি ছ'হাজার ফুট পর্যন্ত উঠে গেছে, এবার নামার পথ ধরল। মিনিট পাঁচেক নেমে একটা চায়ের দোকানে দাঁড়ানো হল। সেখানে চা-এর সঙ্গে ভেজ মোমোও খেলাম (না, চিকেন মোমো পাওয়া যায় না, গেলে সেটাই খেতাম) আর সেইসঙ্গে আরেকটা নতুন জিনিস খেলাম তার নাম মিমি। গরম সুপের মধ্যে একটা নুডুলস্ জাতীয় জিনিস আর উপরে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সার্ভ করে। জিনিসটা খেতে খুবই ভালো। খিদেও ভালোই পেয়েছিল, মিমি আর মোমো দিয়ে খাওয়াটাও হল বেশ তৃপ্তিকর।
| পাইন ফরেস্ট |
| গুডরিক্ টী ডেক্ |
আমাদের সাইট সিয়িং শেষ, তাই গাড়ি আমাদের কার্সিয়ং মার্কেটের কাছে নামিয়ে দিল। কার্সিয়ঙের সাইট সিয়িং-এর মধ্যে একটা উল্লেখযোগ্য জায়গা হল 'নেতাজী মিউজিয়াম', কিন্তু সেটা করোনা পরিস্থিতির জন্য বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। দুপুর আড়াইটে বাজে, আমরা একটা খাবারের হোটেলে ঢুকে লাঞ্চ সেরে নিলাম। ভাত, চিকেন, ডিম, স্যুপ ইত্যাদি নিয়ে খরচ পড়ল ৭০০/- টাকা।
| মনাস্ট্রী |
হোটেলে ফিরে এসে বিকেলে আর সন্ধ্যেবেলা সেরকম কিছু করার থাকে না। আর সত্যি বলতে কি, প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য কিছটা জবুথুবুও লাগে। যাই হোক, রাতে আবার আটটার সময়ে ডিনার খেতে গেলাম। সেই গরম জামাকাপড়, কানঢাকা টুপি, দস্তানা, মোজা, সেই ডাইনিং রুমের দরজা খুললে হাড়কাঁপানো শীত আর সেই ভাত, রুটি, ডিম, চিকেন। খরচ হল ৮১৯/- টাকা। খাওয়ার পরে আমি সেই হরেন্ডাস্ এক্সপেরিমেন্টটা করলাম যেটার কথা আগেই লিখেছি। আবারও বলছি "দিজ অ্যাকশনস্ আর পারফর্মড বাই এক্সপার্টস্"।
| চার্চ |
| সিটং যাওয়ার পথে |
| বিসেস হোম স্টে-তে আমাদের ঘর |
| বিসেস হোম স্টে |
| ফুলের বাগানের পথে |
| রাতের ঠান্ডায় |
| সিটং-এর পথে শোর্তেন |
| বিসেস হোম স্টে-র সামনে |
| নামথিং পোখারি |
| অহলদাড়া ভিউ পয়েন্টে ওঠার পথ |
| অহলদাড়া ভিউ পয়েন্টে |
| হামরো হোম স্টে |
| অরেঞ্জ গার্ডেন |
| তিস্তা নদী |
| নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে |
স্টেশনে পৌঁছে ড্রাইভারকে তাঁর পাওয়া মিটিতে দেওয়া হল। ড্রাইভারের নাম প্রদীপ (পদবী জানা হয়নি) এবং ভদ্রলোক খুবই ভালো। গত তিনদিনে অনেকটা সময় উনি আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছিল। সারা রাস্তায় আমরা ওনার কাছ থেকে অনেক কিছু জানতে পেরেছি, উনি বিভিন্নভাবে আমাদের অনেক সাহায্যও করেছেন। কার্সিয়ঙের বটানিক্যাল গার্ডেনে চড়াই-উৎরাই পথে মা আর সোনামাসিকে হাত ধরে নিয়ে যাওয়া, অহলদাড়া ভিউ পয়েন্টে ওদের জন্য গাড়িটা কষ্ট করে উপরে তোলা এইসবই উনি নিজে থেকেই করেছেন। আমাদের কাছে কখনওই কিছু চাননি এমনকি গাড়ির তেলের টাকাও না, সেটার পুরোটাই আমরা দিয়েছি স্টেশনে পৌঁছে। সেইসঙ্গে আমরা আলাদা করে ওনাকে কিছু টিপ্ও দিয়েছি। এই অঞ্চলে গাড়ির দরকার হলে ওনার সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে। মোবাইল নম্বর - 8145562910.
আমাদের ফেরার ট্রেন ছিল দার্জিলিঙ মেল রাত আটটায়। মাঝের সময়টা আমরা ওয়েটিং রুমে বসে কাটালাম। আর সেইসঙ্গে রাতের ডিনারের জন্য খাবার কিনে নেওয়া হল।
দার্জিলিঙ মেল নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছলো তখন সাড়ে সাতটা। উঠে ট্রেনটা আসার ট্রেনের থেকেও বেশি ফাঁকা। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন থামল আর পরেরদিন সকাল ঠিক ছ'টায় শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে দিল। সাতটা নাগাদ বাড়ি পৌঁছে গেলাম।
সারসংক্ষেপ ঃ
১. পশ্চিমবঙ্গের হিল স্টেশনের মধ্যে দার্জিলিঙ বাদ দিলে প্রথমেই যে দুটো নাম মনে পড়ে তার মধ্যে একটা হল কার্সিয়ং। দার্জিলিঙের থেকে কম উচ্চতায় পাহাড়ের গায়ে তৈরি এই শহর দু'তিনদিন বেড়াতে যাওয়ার পক্ষে খুবই উপযোগী।
২. নিউ জলপাইগুড়ি থেকে কার্সিয়ঙের দূরত্ব ৪৩ কিলোমিটারের মতো। গাড়িতে যেতে ঘন্টাখানেক লাগে।
৩. কার্সিয়ঙে অনেক হোটেল আছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন বিভাগের ।রৌদ্র ছায়া ট্যুরিজম প্রপার্টি (ভূতপূর্ব কার্সিয়ং ট্যুরিস্ট লজ) উল্লেখযোগ্য। এদের ওয়েবসাইট https://wbtdcl.wbtourismgov.in/home থেকে বুকিং করা যায় অথবা কলকাতার বুকিং অফিস থেকেও বুকিং করা যেতে পারে।
৪. কার্সিয়ং ট্যুরিস্ট লজের খাওয়াদাওয়া বেশ ভালো। এখানকার খাবার না খেতে চাইলে খুব কাছাকাছির মধ্যে সেরকম কোনও খাবার জায়গায় নেই, সবচেয়ে কাছে যেটা আছে সেখানে যেতে গেলেও মিনিট পনেরো হাঁটতে হবে।
৫. কার্সিয়ঙে ঘোরার বেশ অনেকগুলো জায়গা আছে। তার মধ্যে হনুমান স্ট্যাচু (স্ট্যাচুটা নয়, এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য) এবং পাইন ফরেস্ট অবশ্য দ্রষ্টব্য।
৬. কার্সিয়ঙের যা সাইট সিয়িং আছে, তারজন্য হাতে ঘন্টা তিনচারেক রাখাই যথেষ্ট। যদি দু'রাতের বেশ এখানে থাকা হয়, তাহলে এখান থেকে বাতাসিয়ালুপ, দার্জিলিং এইসব জায়গাগুলোও ঘুরে আসা যেতে পারে। কার্সিয়ং থেকে দার্জিলিঙের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটারের মতো আর যেতে ঘন্টাখানেকের বেশি লাগে না।
৭. জানুয়ারী মাসে কার্সিয়ঙে বেশ ভালোরকম ঠান্ডা পড়ে। এইসময়ে যদি এখানে আসার পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে যথেষ্ট গরম জামাকাপড় সঙ্গে রাখতে হবে।
৮. কার্সিয়ং থেকে সিটং-এর দূরত্ব প্রায় ২৪ কিলোমিটার হলেও যেতে ঘন্টা দেড়েক সময় লাগে কারণ রাস্তা একেকজায়গায় বেশ খারাপ। সিটং-এর উচ্চতা কার্সিয়ঙের থেকে কম, ঠান্ডাও কম।
৯. সিটং-এ হোটেল সেভাবে নেই, বেশিরভাগই হোম স্টে। আমাদের বিসেস হোম স্টে-টা খুবই সুন্দর এবং এখানকার খাওয়াদাওয়াও অত্যন্ত উন্নতমানের। এদের ওয়েবসাইট https://www.biseshhomestay.com/ এবং যোগাযোগের নম্বর 7076060266 / 9382025312.
১০. হোম স্টে-র ভাড়া থাকা এবং খাওয়া মিলিয়ে মাথাপিছু হিসেবে হয়। খাওয়ার মধ্যে এরা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভনিং স্ন্যাক্স আর ডিনার দেয়।
১১. সিটং জায়গাটায় সেভাবে দেখার কিছু নেই, তবে দু'একদিনের জন্য এখানে গিয়ে থাকতে খুবই ভালো লাগবে। কাছাকাছির মধ্যে অহলদাড়া ভিউ পয়েন্ট একটা দেখার জায়গা। তাছাড়া অল্প কিছুটা দূরে মংপু আছে যেখানে রবীন্দ্রনাথের বাড়ি একটা দর্শনীয় জায়গা।
১২. শীতকালে গেলে সিটং-এর অরেঞ্জ গার্ডেনে অবশ্যই যাওয়া উচিৎ। এখানকার কমলালেবু অত্যন্ত ভালো মানের।
উপসংহার ঃ
| কার্সিয়ং |
কার্সিয়ং ও সিটং ভ্রমণের আরও ছবি দেখতে হলে click here.
No comments:
Post a Comment